স্টাফ রিপোর্ট::খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এই দিনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্যই যিশু জন্ম নিয়েছিলেন।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা আজ আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করবে। বড়দিন উপলক্ষে আজ বুধবার সরকারি ছুটি। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম, আচার ও অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্য আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সবাই মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।তাই এই দেশ আমাদের সবার। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব। ’
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে সিলেট নগরীর নয়াসড়ক খ্রিস্টান মিশন, এয়ারপোর্ট রোডের বড়শালা, খাদিম এবং লাক্কাতুরায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে গির্জাসহ মিশন এলাকা। ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন, বড়দিনের বাহারি কেক, মূল ফটকের ভিতরে মেলা, ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার আয়োজন, গির্জা প্রাঙ্গণ সাজানো, কনসার্ট ও আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সিলেট প্রেসবিটারিয়ান চার্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইকেল রঞ্জন বিশ্বাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং আজ সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।তিনি জানান, আজ বুধবার সকাল ১১ টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেনকে নিয়ে কাটা হবে বড়দিনের কেক।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে সিলেটে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা। এ ব্যাপারে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, বড়দিন উপলক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তার বেস্তনীতে থাকবে সিলেট নগরী। সকল ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে পুলিশ।তিনি আরও জানান, নগরীর নয়াসড়ক খ্রিস্টান মিশন, এয়ারপোর্ট রোডের বড়শালা, খাদিম এবং লাক্কাতুরা জায়গাগুলোতেও থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা।